মেজর (অব) সিনহা হত্যার দৃশ্যপট হুবহু ‘মঞ্চায়ন’ হলো সেই মেরিন ড্রাইভে ।
খবরের সময় ডেস্ক
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে। শুক্রবার বিকেলে আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র্যাব ঘটনার দিনের মতো চেকপোস্টে সবকিছুর অবস্থান ঠিক রেখে, সেদিনের পুরো ঘটনা ব্যবচ্ছেদ করে দেখেন তদন্ত কর্মকর্তা।হিসেব করা হয় প্রতিটি সেকেন্ডে আসলে কী ঘটেছিল।
তারিখ ভিন্ন। মূল ঘটনার তিন সপ্তাহ পর। আর সময় রাতের বদলে দুপুর। প্রকৃত ঘটনার সাড়ে সাত ঘণ্টা আগে।কেন পুলিশ মেজর সিনহার ওপর গুলি চালিয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে করা হলো সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ।প্রথমে হাজির করা হয় ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে। যার বাইকে ছড়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত।পুলিশের করা মামলার বাদী নন্দদুলাল বেশ সাবলীল এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দেন তদন্ত কর্মকর্তাকে।৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর চেকপোস্টে ভেরিকেটগুলো এবং সিনহা রাশেদের গাড়ির অবস্থান কেমন ছিল তাও দেখিয়ে দেন তিনি।
তিনি জানান, ইন্সপেক্টর লিয়াকত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অস্ত্র তাক করে গাড়ির দুই যাত্রীকে হাত উপরে তুলে নামার নির্দেশ দেন।নন্দদুলালের পর হাজির করা হয় সিনহা রাশেদের ওপর গুলি বর্ষণকারী ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে।লিয়াকত কোথায় দাঁড়িয়ে, কেন গুলি ছুড়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তার এমন জিজ্ঞাসার জবাব দেন।সবশেষ ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে।মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সেদিনের বিষয়ে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন ওসি প্রদীপকে। উত্তর দেয়ার সময় ওসি প্রদীপও ছিলেন সাবলীল ও আত্মবিশ্বাসী।র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটে মাত্র দুই মিনিটে।এ অল্প সময়ে কী এমন ঘটেছিল তা অনুসন্ধান করছেন তারা।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।এ ঘটনায় তার বোন শাহরিয়া শারমিন ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অন্য দুই পুলিশ সদস্য পলাতক রয়েছেনর ।